🌍 তিস্তা প্রকল্প চীনের সাথে চূড়ান্ত !! ভারত আটকাতে পারলো না বাংলাদেশ !!

ঢাকা:
তিস্তা নদী, বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী, উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে আছে। তবে, ভারতের বাঁধ ও পানির নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের শুকনো মৌসুমে পানি আটকে রাখা এবং বর্ষায় বাঁধ ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করা প্রায় এক চিরস্থায়ী সমস্যা হয়ে গেছে।

🇨🇳 চীন ও বাংলাদেশের চুক্তি:
শেখ হাসিনার শাসনামলে তিস্তা নদীতে একটি বহুমুখী ব্যারেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, যার জন্য চীন তৎপর ছিল। কিন্তু, ভারতের নিরাপত্তার ভয়ের কারণে ভারত সেটি আটকে দেয়।

🗓️ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার:
যতই ভারত বাধা দিয়েছিল, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে। এবং এবার চীন এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে যা ভারত আটকাতে পারলো না।

🔥 ভারত কতটা চিন্তায়?
এবার ভারত অনেক চিন্তায় পড়েছে, কারণ চীন ও বাংলাদেশের এই তিস্তা মহাপরিকল্পনা ভারতের স্বার্থের বিপরীতে যেতে পারে।

তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, যা তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারত এই নদীটির পানির উৎস নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, যার ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এলাকার জনগণ প্রতি বছর সংকটের মুখোমুখি হয়—শুকনো মৌসুমে পানি আটকিয়ে মরুভূমির মতো হয়ে যায়, আর বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে গোটা এলাকায় বন্যা সৃষ্টি করা হয়।

বাংলাদেশের জন্য তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ভারত দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রকল্পটির বিপক্ষে ছিল, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ তিস্তা নদীতে একটি বহুমুখী ব্যারেজ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে, তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটতে পারে এবং ভারতীয় পানির নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন আসতে পারে।

ভারতের বাধা এবং চীনের সঙ্গে চুক্তি

শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্পের জন্য একটি চুক্তি করতে তৎপর ছিল, কিন্তু ভারত তাদের নিরাপত্তার কারণে এই চুক্তি আটকে দেয়। ভারত feared যে, চীনের involvement বাংলাদেশের সাথে তিস্তায় প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, ভারতীয় নিরাপত্তায় বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। তবে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন।

তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং তাতে ভারতকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, তিস্তা নদীতে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বৃহৎ প্রকল্প শুরু হবে, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে।

ভারতের চিন্তা ও বাংলাদেশে উদ্বোধন

ভারত এই নতুন চুক্তি এবং প্রকল্পের অগ্রগতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, কারণ এটি তাদের পানির নিয়ন্ত্রণে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের অনেক সুবিধা হতে পারে, যা ভারতের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এখন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে এবং এই প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়ন ভারতের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে এই প্রকল্পের ফলে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে নদী নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় হস্তক্ষেপ কমে যেতে পারে এবং বাংলাদেশের মানুষ পানির সমস্যায় আর অতিষ্ঠ হবে না।

📅 প্রকল্পের শুরু:
তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীন ও বাংলাদেশ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাংলাদেশে উন্নতির নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে।