ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৩২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

তারা প্রত্যেকেই ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গতকাল রোববার পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, দক্ষিণখান থানার ওসি মো. আশিকুর রহমানকে পিরোজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. শাহ আলমকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহীনুর রহমানকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, বনানী থানার ওসি কাজী শাহান হককে রংপুর পিটিসিতে, বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছাঁলাম মিয়াকে খাগড়াছড়ি ৬ এপিবিএনে, নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, হাজারীবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কলাবাগান থানার ওসি মো. মফিজুল আলমকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে, রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়াকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং ধানমন্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে নোয়াখালী পিটিসিতে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া শ্যামপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানকে গাইবান্ধা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ওয়ারী থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে ১৪ এপিবিএনে, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আবুল হাসানকে ১৬ এপিবিএনে, রূপনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে বরিশাল ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ভাসানটেক থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিনকে মহালছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুগদা থানার ওসি তারিকুজ্জামানকে সারদা বিপিএতে, মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে নোয়াখালী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ১০ এপিবিএনে, হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেনকে হবিগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মো. আহাদ আলীকে এপিবিএনে এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরেরে অপর এক প্রজ্ঞাপনে ১৮ পুলিশ পরিদর্শককে বদলি করা হয়। এ নিয়ে ডিএমপির ৫০টি থানার ওসিকে বদলি করা হলো। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এসব ওসির বেশিরভাগই ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।